শনিবার দ্বিতীয় দফায় শতাধিক জলদস্যুর আত্মসমর্পণ

ডেস্ক রিপোর্ট • কক্সবাজারের মহেশখালী দ্বীপে আগামী শনিবার আরো এক দফায় শতাধিক জলদস্যু আতœসমর্পণ করবেন। দ্বিতীয় দফার এ অনুষ্টানে আতœসমর্পণ করতে পারেন মহেশখালী, কুতুবদিয়া, চকরিয়া ও পেকুয়ার উপকুলীয় উপজেলার বেশ কিছু সংখ্যক অস্ত্র কারিগর এবং সন্ত্রাসীরাও। মহেশখালী দ্বীপ উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে এ অনুষ্টানের আয়োজন করা হয়েছে।

আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, এমপি আশেক উল্লাহ রফিক, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক এবং জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন জানিয়েছেন, শনিবারের অনুষ্টানে অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দিয়ে দস্যু জীবন থেকে আলোর পথে ফেরার সম্মতি জানিয়েছেন এসব জলদস্যু ও অস্ত্র কারিগররা।
তিনি জানান, আত্মসমর্পণকারীদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে প্রণোদনাসহ সব ধরণের সহযোগিতা দেওয়া হবে।

জানা গেছে, ইতিমধ্যে মহেশখালী দ্বীপের দুর্ধর্ষ ৭ টি দস্যু বাহিনীর প্রধানসহ তাদের বাহিনীর সহযোগিরা পুলিশের সেফহোমে চলে এসেছেন। সেফহোমে আসা দস্যুদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এসব দস্যুদের কারণে যুগ যুগ ধরে মহেশখালী-কুতুবদিয়াসহ পুরো উপকূলীয় এলাকায় অশান্তি লেগে থাকত। গভীর সাগরে মাছ ধরা নৌকা গুলোর অগণিত সংখ্যক জেলে প্রাণ হারিয়েছে এসব দস্যুদের হাতে।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২০ অক্টোবর র‌্যাবের মাধ্যমে মহেশখালী-কুতুবদিয়ার ৪৩ জলদস্যু আত্মসমর্পণের পর থেকে ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যায় অনেক শীর্ষ জলদস্যু ও অস্ত্র কারিগর। এ কারণে দ্বীপের পাহাড় ও সাগর উপকূলে অভিযান জোরদার করে পুলিশ। অভিযানের মুখে আবারো আত্মসমর্পণ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন মহেশখালী, কুতুবদিয়া, চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার এসব জলদস্যু ও অস্ত্র কারিগর।